এম আর আমিন:  চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে- গত  দুদিনে ২৪০ জন রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে।

প্রকোপ রোধে সময়োপযোগী উদ্যোগসহ সংশ্লিষ্ট উপজেলাসমূহ সরেজমিনে পরিদর্শন শেষে ডায়রিয়ায় আক্রান্তের কারণ অনুসন্ধান করে ডায়রিয়া আউট ব্রেক ইনভেস্টিগেশন প্রতিবেদন প্রদানের জন্য ৩  সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করেছে সিভিল সার্জন অফিস। 

প্রতি ইউনিয়নে ১টি ও প্রতি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫টি করে মেডিকেল টিম পুনঃগঠন করে প্রস্তুত রাখতে নির্দেশ দিয়েছে জেলা সিভিল সার্জন।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ে এ লক্ষ্যে  একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। ডায়রিয়া বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে স্বাস্থ্য শিক্ষা কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে।

২৮৪টি মেডিক্যাল টিম গঠন করেছে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়। মজুত রাখা হয়েছে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সামগ্রীও। চট্টগ্রামের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি অনেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন বাসাবাড়িতে। দু-সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চট্টগ্রামে তীব্র তাপপ্রবাহ চলছে।

চিকিৎসকরা বলছেন, তীব্র গরমের পাশাপাশি খাবারের সঙ্গে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে ডায়রিয়ায় ভুগছেন রোগীরা। যাদের অবস্থা বেশি খারাপ হচ্ছে, তাদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। 

চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, চলতি সপ্তাহের প্রথমদিকে হঠাৎ করে উপজেলার হাসপাতালগুলোতে ডায়রিয়া রোগী ভর্তি বেড়ে  যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় মেডিক্যাল টিম এবং চিকিৎসা সামগ্রী মজুত রাখা হয়েছে।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মামুনুর রশিদ জানান, অতিরিক্ত গরমের কারণে মানুষ জুস, পানি এবং বিভিন্ন খাবার খাওয়ার কারণে এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। 

চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান জানান, তাপপ্রবাহ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে হাসপাতালে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর ভর্তি বেড়েছে। চিকিৎসায় আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান